শিক্ষকদের আন্দোলন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ, ক্লাস শুরুর আগেই ‘সেশনজট’
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে টানা দুই সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা
বেশ কিছুদিন ধরে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। কোটাবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরাও নেই ক্লাসে। সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে টানা দুই সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা। একই দাবিতে আন্দোলনে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এতে অচল দেশের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো।
বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে এমন আন্দোলনে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন চলতি শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। মেধা তালিকায় জায়গা পেলেও ভর্তি হতে পারছেন না অনেকে। আবার কেউ কেউ অপেক্ষমাণ তালিকায় ঝুলে আছেন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন কি না, তা নিশ্চিত না হওয়ায় অনেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও ভর্তি হতে পারছেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুচ্ছভুক্ত দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির প্রক্রিয়া চলাকালীন শিক্ষকদের আন্দোলনে স্থগিত ভর্তি কার্যক্রম। প্রকৌশল গুচ্ছভুক্ত তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও চতুর্থ ধাপের ভর্তির কার্যক্রম আটকে আছে। চট্টগ্রাম, খুলনা এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুরা অনিশ্চতায় দিন গুনছেন। অন্যদিকে কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভবই হয়নি।
ভর্তি শেষে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে ক্লাস শুরুর কথা ছিল। তবে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগতদের ক্লাস শুরু করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরুর আগেই সেশনজটে পড়তে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
দেশের পুরোনো ও বড় (শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায়) চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কাজ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি শেষ হলেও স্থগিত রয়েছে আবাসিক হলে ভর্তিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম। ভর্তি শেষে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটে ক্লাস শুরুর কথা ছিল। তবে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাগতদের ক্লাস শুরু করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরুর আগেই সেশনজটে পড়তে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
ভর্তি কমিটির প্রধানদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন প্রায় ২১ হাজার। এরমধ্যে ভর্তি শেষ হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজার আসনে। এখনো সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ঝুলে আছেন। কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন প্রায় চার হাজার। সেখানে এখনো ভর্তি পরীক্ষা না হওয়ায় আবেদন করা ৭০ হাজার শিক্ষার্থী অনিশ্চয়তায় দিন গুনছেন। এছাড়া প্রকৌশল গুচ্ছভুক্ত তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে তিন হাজার আসনের মধ্যে এখনো প্রায় ৭০০ আসন ফাঁকা। সেখানে ভর্তির জন্য অনেকে অপেক্ষমাণ তালিকায় ঝুলে আছেন।
অনিশ্চয়তায় মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে ভর্তিচ্ছুরা
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে অপেক্ষমাণ তালিকায় ছিলেন নাজনীন আক্তার। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়। বাবা স্থানীয় ব্যবসায়ী। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া নাজনীন ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। তবে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েও নির্বাচিত হননি। এখন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় তার শেষ ভরসা।
কোটা বণ্টনে সংস্কার জরুরি, সমাধানের সূত্র সরকারের হাতেই
শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরাতে সব উপাচার্যকে চিঠি ইউজিসির
প্রত্যয় স্কিম বাতিলে শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক: অর্থমন্ত্রী
জাগো নিউজকে নাজনীন বলেন, ‘এখানে ভর্তি হতে না পারলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ছাড়া উপায় নেই। বেসরকারিতে পড়তে অনেক খরচ। আমার পরিবারের পক্ষে সেটা দেওয়া কষ্টসাধ্য।’
তিনি বলেন, ‘গুচ্ছে সুযোগ পাবো কি না, সেটা তো নিশ্চিত হতেও পারছি না। হয়তো বাবাকে বললে ঋণ করে যত কষ্ট হোক বেসরকারিতে ভর্তির জন্য টাকা জোগাড় করে দেবেন। কিন্তু বেসরকারিতে ভর্তির পর যদি আবার গুচ্ছের ভর্তি শুরু হলে চান্স পাই, তখন সেই টাকাগুলো সব নষ্ট হবে। বিষয়টি নিয়ে খুব মানসিক অস্বস্তিতে আছি।’
নাজনীন এখনো শক্ত থাকলেও ভর্তি প্রক্রিয়া থমকে থাকায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন অনেকে। সাজ্জাদুর রহমান নামে রাজশাহীর এক শিক্ষার্থী সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাকে। তারা বাবা এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টও দেন।
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন প্রায় ২১ হাজার। এরমধ্যে ভর্তি শেষ হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজার আসনে। এখনো সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ঝুলে আছেন। প্রকৌশল গুচ্ছভুক্ত তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাড়ে তিন হাজার আসনের মধ্যে এখনো প্রায় ৭০০ আসন ফাঁকা।
কথা হয় সাজ্জাদুরের বাবা আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘ভার্সিটিতে (বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তির জন্য ছেলেটা খুব টেনশনে আছে। রুয়েটে মোটামুটি ভালো মার্কস এসেছে ওর। কিন্তু ভর্তি কার্যক্রম তো বন্ধ। এজন্য সারাদিন টেনশনে থাকে। খাবার খায় না ঠিকমতো। হঠাৎ সেদিন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। রাজশাহী মেডিকেলে নিলে ডাক্তার বলেছেন অতিরিক্ত মানসিক চাপে ছেলেটার এ অবস্থা। শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন, ক্লাস বন্ধ থাকতে পারে। কিন্তু ভর্তি কেন বন্ধ থাকবে? এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
ভর্তির জন্য ঝুলে থাকা আরও অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছেন জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক। তারা সবাই চরম বিষণ্নতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসএসসি ও এইচএসসিতে যত ভালোই রেজাল্ট হোক, ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে ক্যারিয়ার থেমে যায়। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মুখিয়ে থাকেন। কারণ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই তাদের।
রাবেয়া আক্তার নামে ঢাকার এক ভর্তিচ্ছুর মা মেয়েকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায়। আবেদা পারভীন নামে ওই অভিভাবক জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষকরা এটা কেন করছেন? ক্লাস নেবেন না ঠিক আছে, ছেলে-মেয়েদের ভর্তি কেন আটকে রাখছেন? এটা টর্চার। আমার মেয়েটা পাগল হয়ে যাচ্ছে। আমিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়টি খুবই চ্যালেঞ্জিং। সেখানে ঝুলে থাকায় আমার মেয়ে মনমরা হয়ে পড়েছে।’
আন্দোলনে ‘নিরুপায়’ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো
প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে আন্দোলন চলছে, তাতে পরোক্ষ সমর্থন রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনেরও। ফলে কর্মসূচি শুরুর আগেই নোটিশ দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন।
গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটিতে এবার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘আন্দোলন চলছে, শিক্ষক হিসেবে তাতে আমাদের সমর্থন আছে এটা ঠিক। তবে প্রশাসনিক দিক দিয়ে আমরা সক্রিয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কাদের দিয়ে কাজ করবো? লোকবল তো নেই। তারা তো আন্দোলনে। বাধ্য হয়ে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্বতন্ত্র প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম চালাচ্ছে। একেবারে শেষ দিকে এসে আন্দোলনের কারণে আটকে গেছে ভর্তি কার্যক্রম। ১ জুলাই থেকে শিক্ষকরা কর্মসূচি পালন শুরু করলেও ২৯ জুন রাবি প্রশাসন ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিতের নোটিশ দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা প্রত্যয় স্কিমের বিরোধিতা করছেন কেন?
‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে যা জানালো অর্থ মন্ত্রণালয়
কোটাবিরোধী আন্দোলন: শিক্ষার্থীদের নামে পুলিশের মামলা
জানতে চাইলে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষকরা কর্মবিরতি করছেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কাজ করছেন না। এখানে প্রশাসনের কিছু করার নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখানে নিরুপায়।’
তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভাপতি চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ কুমার পাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আমাদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করার কথা ছিল। ৩১ জুলাই ওরিয়েন্টেশন ক্লাস হওয়ার কথা। সেগুলো সব স্থগিত করেছি। এখন যে পরিস্থিতি যদি দ্রুত আন্দোলন থেমেও যায়, তবুও ভর্তি শেষ করে ক্লাস শুরু করতে আগস্ট পার হয়ে যাবে।’
শিক্ষকরা এটা কেন করছেন? ক্লাস নেবেন না ঠিক আছে, ছেলে-মেয়েদের ভর্তি কেন আটকে রাখছেন? এটা টর্চার। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়টি খুবই চ্যালেঞ্জিং। সেখানে ঝুলে থাকায় আমার মেয়ে মনমরা হয়ে পড়েছে।
এখনো ভর্তি পরীক্ষা নিতে পারেনি কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কৃষি গুচ্ছের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম লুৎফুল আহসান বলেন, ‘কৃষি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কোনো সুখবর নেই। আগামী ১৫ জুলাই আমরা বৈঠক করবো। সেখানে আলোচনা হবে। তবে শিক্ষকদের আন্দোলন চলমান থাকলে অনিশ্চয়তা আরও বাড়বে।’
‘এখতিয়ার নেই’ বলছে ইউজিসি, ‘মন্তব্য নেই’ শিক্ষামন্ত্রীরও
দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অচল। ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক সব কাজ বন্ধ। পদে পদে ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। বেশি বিপাকে ভর্তিচ্ছুরা। তবে তাদের জন্য কিছুই করার নেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)।
ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্বে) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘শিক্ষকরা দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করলে সেটা নিয়ে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দেওয়ার এখতিয়ার তো আমাদের নেই। আমরা পরামর্শ দিতে পারি। এটা মন্ত্রণালয় তথা সরকার পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে।’
তবে ইউজিসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইউজিসির চেয়ারম্যান, সদস্য থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে শিক্ষকরাই দায়িত্বে। তারা পেনশন স্কিম বাতিলের আন্দোলনে শিক্ষকদের পরোক্ষভাবে সমর্থন দিচ্ছেন। ফলে এ নিয়ে টুঁ শব্দও করছেন না তারা।’
বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি খোদ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীও। জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আমি এটা নিয়ে অনেকবার বলেছি। সর্বজনীন পেনশন সরকারের নির্বাহী বিভাগের একটি আদেশ। এটা সরকার সবার জন্য চালু করছে। শিক্ষকরা সেখানে আসতে চান না বলে আন্দোলন করছেন। যদি এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তবে সেটা সরকার নেবে। মন্ত্রী হিসেবে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’
ভর্তি ও বিভিন্ন সেবা পেতে ভর্তিচ্ছু এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না, প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বতন্ত্র। তারা নিজেদের আইনে চলে। মন্ত্রণালয় সরকারের বিভিন্ন নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে। তাদেরকে কোনো কিছুতে বাধ্য করতে পারে না। তাই এ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। সরকার এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়কে কোনো পদক্ষেপ নিতে বললে তখন আমরা কাজ করবো।’
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor
কমেন্ট বক্স